ক্রেতা না থাকায় এবং ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ টাকা। একদিন আগে যে পেঁয়াজ আমদানি কারকরা ৪৪ টাকা বিক্রি করেছেন, আজ তা বিক্রি করছেন ৩৬ টাকা কেজি দরে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে হিলি বন্দরের আমদানিকারকদের বিভিন্ন আড়ৎ ঘুরে জানা যায়, দুর্গাপূজার আগে চাহিদা তুলনায় বেশি আমদানি হয়েছে পেঁয়াজের।
টানা ৬ দিনের বন্ধে বিক্রি হয়নি সেই পেঁয়াজ। বন্ধের পর আবারও গতকাল (রোববার) থেকে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। ফলে এই পেঁয়াজের ক্রেতা নেই হিলি বন্দরে। এ কারণে পেঁয়াজের পচন ধরছে এবং পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। দেখা যায়, যে পেঁয়াজ রোববার আমদানিকারকরা বিক্রি করেছেন কেজি ৪৪ টাকা, আজ তা বিক্রি করছেন ৩৬ টাকায়। ক্রেতা সঙ্কটের কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী খাদেমুল বলেন, হঠাৎ রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। গতকাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা কেজি কিনে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ (সোমবার) সকালে ৩৮ টাকা দরে নিয়ে তা আবার বিক্রি করছি ৪০ টাকা কেজি দরে। পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে সবার কাছে মজুদ আছে, আবার আমদানিও হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক দুলু গোয়াল বলেন, আগের পেঁয়াজ ঘরে আছে আবার গতকালও দুই গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ক্রেতা নেই, কার কাছে বিক্রি করবো। ঘরে পেঁয়াজ আছে এবং গতকালকের আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বন্দরে পড়ে আছে।
আজ আমরা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। হিলি পানামা পোর্ট লিঙ্কের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, দুর্গাপূজায় টানা ৬ দিন ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিলো। রোববার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এদিন বন্দরে ১৭ গাড়িতে ৪৭৪ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।